পৃথিবীর কেউ কোনোদিন জানতে পারবে না অকাল ঝড়ে যাওয়া শব্দের অর্থ। হারিকেনে কেরোসিন ছিলো, তবু আঁলো নিভে গ্যাছে। কবিতার আগে কবির মৃত্যু শতশত গল্প দাঁড় করিয়ে দিতে পারি। এইযে কবির আগে কবিতার মৃত্যু হলো। এইযে লেখকের আগে কলম ঝড়ে গেলো, কেউ কোনোদিন জানতে পারবে না।
শুধু তুমি জানবে প্রিয়তমা। এইযে একেক নামে একেক প্রেমিকার নাম ধরে ডাকাডাকি করি ভিন্ন ভিন্ন প্রেমিকের স্বরে, এ স'বি তোমাকে। তুমি সুরঞ্জনার মত মগজ খেয়েছো। রোদেলায় খেয়েছো হৃদপিণ্ড, চোখ খেয়েছো নূরী কিংবা জরী হয়ে। ধ্যানজ্ঞানে মিশে আছো নীলার মত। মায়া, মুনা কিংবা অরুন্ধতীয় হয়ে আছো রক্ত। এ-সব কেউ কোনোদিন জানতে পারবে না।
এই ক্ষনিকের কলমে ন্যায্য পাওনা পেয়ে গেছি। তোমার বিদায় লঘনের চিঠিতে। রাতের চিঠিতে কি থাকে আর কোনোদিন লিখবো না প্রিয়তমা আমার। শান্তির মিছিলে স্লোগান দিয়ে হারিয়ে যাবো চিন্তা মুক্তোয়। এখন তুমি ভালো আছো, সুখী আছো আমার আর কিছু লিখে তোমাকে সুখী করার চেষ্টা করতে হবে না।
কিছু কথা ছিলো কথা নেওয়ার বাকি। কিছু কথা ছিলো কথা দেওয়ার বাকি। তুমি কোনোদিন কাজল ভিজাবে না, যতবার কালো টিপ পড়বে তোমার ঠোঁট যেনো হাসি থাকে। তুমি হাসছো আমি জেলখানার জীবন থেকে দাঁড়িয়ে সুখী হবো। তোমার বিষাদ ছাপের ছবি আমাকে সুখের রাজ্যের ভেতরেও ছারখার করবে।
আমি কোনোদিন আত্মাহত্যার কবিতা লিখবো না। আত্মাহত্যার কবিতা লিখে ভীতুরা, ছোট লোকেরা- প্রেমিকরা না। তবে ছাইপাঁশ নিয়ে কথা দিতে পারবো না, যেদিন নিয়ন্ত্রণহারা প্রেমিক হবো সেদিন নিজেকে তুলে দিবো ছাইপাঁশে নতুবা আত্মাহত্যার কবিতা লিখতে আমাকে ঘোর কবি করে তুলবে।
প্রিয়তমা আমার। আমার যাবতীয় আয়োজন যেখানে গিয়ে থামতো, সেখানটার মালিকানা আমি নেই আর। অধিকার ছাড়া কিছুই করা যায় না, হোক যুদ্ধ কিংবা কবিতা লিখা। অধিকারের ইতি টেনে যে কবিতা তুমি লিখে গেছো প্রিয়তমা আমার, সেখানের বাসিন্দা হয়ে দিব্যি থেকো।
প্রেমিক লিখবো না আর। মধ্যবিত্ত কিংবা বেকার লিখবো না। মানুষকে লিখবো না আর, আমাকে বা তোমাকে লিখবো না। প্রিয়তমার আমার ভালো থেকো। আমি আর কোনোদিন লিখবো না, লিখে গেলাম। পৃথিবীর কেউ কোনোদিন জানতে পারবে না, শুধু তুমি জেনে রেখো- শুধু তুমি জেনে রেখো।