চাঁদ সদাগরের নাও এইমাত্র জলাঙ্গির খাল ছেড়ে
ক্ষীরনদে পড়েছে
আর তখনি ছুটে এল দিগন্ত থেকে
একঝাঁক নীল কৈবর্ত্যের মতো বৃষ্টির ডাকাত
হামলে পড়ল ছৈ-গলুইয়ের ওপর; মাঝিমাল্লারা
দড়াদড়ি লগি বৈঠা ছেড়ে
দুই ঊরুর মধ্যে হাত নিয়ে সারেন্ডার করেছে;
লুঠিয়ারা
পাল ভিজিয়ে, বুড়ো চাঁদের গাল ভিজিয়ে
তার মাথার উষ্ণীষ পায়ের কাষ্ঠপাদুকা ভিজিয়ে দিয়ে
বসে থাকল, যাবার নাম নাই
যেন বহুদূরের সাগাই আসিচ্ছে কুটুমের
হুড়ুমের কোলা সাবাড় কৈত্তে!
ছৈয়ের ভিতরে ছৈ, তার মধ্যে পুত্রসহ বধূ,
একচোখ-কানা পদ্মাডাইনির চোখ এড়িয়ে
চলেছে ঘরে,
আজ কৃষ্ণাচতুর্দশীর রাতে
তাদের অতন্দ্র অসহস্পর্শ লোহার বাসর
আজ বোনা হবে ভাটিবাংলার আগুনসুতায়
চিরবিদ্রোহের আলোয়ান
তুমুল বৃষ্টির মধ্যে চাঁদমিয়া দেখছেন বাংলার
অনাগত ভবিষ্যৎ
নাচিয়া খেলিয়া সহর্ষে বাবরি দোলাইয়া
কৈবর্ত্যের পুত্ররা
মনসার সিংহপাহারা থেকে ছিনিয়ে আনছে
সোনার মাদুলি,
অনাগত রক্তের ধারা—শীর্ষে তার মুক্তির কহ্লার!