যেতে যেতে দেখলাম তিনি বেরুচ্ছেন
শাদা পাঞ্জাবি শাদা চাদর
হাতে চিকন ছড়ি
তিনি সুসজ্জিত
তিনি বেরুচ্ছেন।
দরজা খুলে টান টান শরীরে
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছেন
চোখ দুটি তাঁর সোজা সামনের দিকে
তিনি কি ঝাঁপ দেবেন !
আমার ব্যস্ততা ছিল
আমি দাঁড়ালাম না।
বিকেলে ঘরে ফিরছি, কী আশ্চর্য
তিনি সেখানেই !
সঙ্গে সঙ্গে বসে পড়লেন
আবার উঠে
টান টান শরীরে দিগন্তে চোখ রেখে
আবার তিনি দাঁড়ালেন।
আমার প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন :
দেখ, সেই সকাল থেকেই লাফাচ্ছি।
বাইরে আমাকে যেতেই হবে
বাইরে যাওয়া খুব দরকার
কিন্তু এই টবটা ...
(এতক্ষণে দেখলাম, তাঁর পায়ের সামনে
একটা মরা ফুলের টব)
আমি একে পার হতে পারি না।
বললুম, দু-হাতে ধরে সরিয়ে দেন নি কেন?
তিনি বললেন,
কতকালের সঙ্গী, কত জল ঢেলেছি
তাকে নিজের হাতে, তা কি পারা যায়?
বড় মায়া।
তুমি একটু হাত দাও না।
তাতে কিছু লাভ নেই, আমি বললুম।
আমি আজ সরিয়ে রেখে যাব
মায়ার ফাঁসটা আপনার বুকের মধ্যে
তাকে আমি ছুঁতে পাব না।
কাল আবার আপনিই টেনে আনবেন
আবার এখানেই সাজিয়ে রাখবেন
তারপর রোজ সকালে
আবার এমনি লম্ফঝম্প !
বরং নিজের হাতেই সরিয়ে নিন
ফাঁসটা নিজের হাতেই ছিঁড়ে ফেলুন।